OdishaKeonjhar
Sep,2019Address: | Keonjhar, Odisha 758001 |
---|---|
How to go: | Start your journey from Jajpur Keonjhar road, hire car and explore Keonjhar. |
Pros: | Road condition is very good, every destination is watch worthy |
Cons: | no public transport at all..... every place is very remote and you have to manage car by own, then only you can explore. |
What to visit ? |
|
Company: | Friends who are sporting enough to explore the most, Family for few waterfalls only |
Minimum day/time to visit: | 2 days full. |
Locality: | Village, Urban |
Expenses: | 3000 max for a group of 4 |
More Information: | || ওড়িশার কেওনঝড় || আবার একটা অফবিট। ১ বছর ধরে প্ল্যান আর প্ল্যান। যাওয়া আর হচ্ছিল না কখনো সিজন, কখনো সুযোগ সুবিধার জন্য। ছোট্ট একটা পাগলদের টি ম। সবাই সব সময় পজেটিভ এনার্জি নিয়ে চলা মানুষ। একই সাথে মতের ও দৃষ্টিভঙ্গির মিল যেগুলো না হলে একটা ট্যুর অনায়াসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয় বন্ধুত্বও শেষ হয়ে যেতে পারে। আমি লাকি যে আপাতত সব কিছু ঠি ক চলছে। আজকের কেওনঝড়ে আসল লক্ষ্য হলো ঝর্ণা।আবহাওয়া খুব ভালো থাকায় সারা দিনের জার্নিটা খুব স্পেশাল গেছে। নিজেরা ড্রাইভ করায় যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তোলার সুযোগ হয়ে যায়। সত্যি বলতে এমন ল্যান্ডস্কেপ, প্রকৃতির এমন মনোমুগ্ধকর রূপ দেখে না গাড়ি থামিয়ে পারা যায় না। সত্যি, দূর্গাপূজার প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরকম রূপ আশীর্বাদের সমান। প্রতিটা মুহূর্ত স্মরনীয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি লাকি যে এই ট্যুরটা আমি করতে পেরেছি এদের সাথে। কেওনঝড় অসম্ভব সুন্দর জায়গা। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা পাথুরে জায়গা যেখানে খুব সুন্দর সুন্দর ঝর্ণার অবস্থান। প্রতিটা নিজ নিজ রূপের রানী। কোনটাকেই বাদ দেওয়া যায় না। ২ দিন সময় নিয়ে সব কটাই দেখে ফেলো। অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। কি কি দেখার আছে? ****************************** 1. গুন্ডিচা ঘাই ফলস্ 2. ভিমকুন্ড ফলস্ 3. বড়া ঘাগড়া 4. সানা ঘাগড়া 5. খন্ডধারা 6. হান্ডিভাঙা থাকার যায়গা: ****************************** কেওনঝড় OTDC ১২০০ টাকা ডবল বেড অভিজ্ঞতা: ****************************** গুন্ডিচা ঘাই ফলস্: জাজপুর কেওনঝড় রোড রেল স্টেশন থেকে শুরু। প্রথম দেখা ৬০ কিমি দূরে গুন্ডিচা ঘাই। ছোট উচ্চতার ৫/৬ টা চওড়া ধারাযুক্ত খুব সুন্দর ফলস্। যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধারে সবুজ ধানের ক্ষেত আর দূষণমুক্ত হাওয়া মন জয় করে নেয়, তার পরে হটাৎ পরিবেশ টাই চেঞ্জ হয়ে যায়, গাছের ধরণ ও পরিবেশ দুটোই আলাদা, রাস্তার দুইধারে বড় বড় গাছের ছায়া আর পাখির ডাক... অসাধারণ লাগবে... গ্রামের রাস্তা এখন বেশিরভাগ জায়গায় পাকা তাই ধূলোর গল্প থাকে না... গাড়ি চালিয়েও মজা চড়েও মজা...অবশেষে পৌছালাম ফলস এ.. সিঁড়ির গল্প নেই, বিভিন্ন দিক দিয়ে তার ছবি নেওয়া যায়। ক্লিফ এর উপর দাঁড়ানোর সুযোগ আছে... আছে পার্কিং এর জন্য সুন্দর জায়গা আর কিছু ছোট খাটো খাবার বিক্রেতা... তা ছাড়া একটা লোহার ব্রিজ যেটা দিয়ে নদীটা পার করা যায়... সব মিলিয়ে জায়গা টার সাথে সাথে ঝর্ণার সৌন্দের্য আলাদা মাত্রা আনে.... ভিমকুন্ড ফলস্ : তার থেকে ৩৫ কিমি দূরে ভীমকুন্ড, যার দুটো দিক আছে। একটি কেওনঝড়ের দিক অপরটি ময়ুরভঞ্জ। আর ঐ দিকটাতেই সিঁড়ি দিয়ে পার্কের মত করা আছে। যারা শিমলিপালের দিক দিয়ে আসবে তারা ঐ দিকটি দেখে নিতে পারে। ময়ূরভঞ্জের দিকটা যেতে না পারলেও দু:খ ছিল না। কারণ কেওনঝড়ের দিক দিয়েই আমরা বড় বড় কালো ও হলুদ মার্বেল পাথরের তৈরী বোল্ডার পেরিয়ে নদীর মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে ওয়াটার ফলসের কাছে গিয়ে ছবি তোলা ও স্নান সারলাম। অবশ্যই খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। পাথরের প্যাটার্ন বিস্ময়কর। আসলে এটি বৈতরিনী নদী, খুবই খরস্রোতা হয়ে মাঝে মাঝে বড় বড় খাঁদ সৃষ্টি করেছে আর জলের স্রোত সেখানে অনেক বেশি. কখনোই নির্দেশ দেবো না নদীর মাঝখানে যাওয়ার জন্য.. বড়া ঘাগড়া: এরপর চলে এলাম কেওনঝড় যেটা আরও ৫৫ কিমি। এসে পান্থনিবাসে ব্যাগ রেখে বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম বড়া ঘাগড়ার উদ্দেশ্যে। বদ্ধ একটা ঘোলাটে ছোট জলাসয়ের মধ্যে একধারা বিশিষ্ট চওড়া ঝর্ণা। লাল পাথুরে রাস্তার মধ্যে দিয়ে এই জঙ্গলটি রোমাঞ্চের সৃষ্টি করে... খুব বর্ষায় অসস্তি লাগবে... সেখান দিয়ে পাশে একটি সিঁড়ি বেয়ে ঝর্ণার উপরের অংশে পৌঁছানো যায়.. উপড়ে উঠে এক অসাধারণ ছোট্ট শিবের মন্দির ও বড়া ঘাগড়া ড্যাম মন কাড়ে। ড্যামের ধারে বিকেলের সময় কাটানো just felt like heaven. ড্যামের চার পাশের নৈসর্গিক দৃশ্য অন্য জগতে নিয়ে যায় মানুষকে.. কখনোই মিস করা উচিত নয় এই জায়গাটি.... সানা ঘাগড়া: সানা ঘাগড়াকে ঘিরে একটা পার্ক সাজানো হয়েছে । বেশ মনোরম এই পার্কের মধ্যে অনেকটা সময় কাটানো যায়.. এন্ট্রি ফী আর পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে এই পার্ক এ. কিছু খাওয়ার দোকান আর একটি বড় ঝিল যাতে বোটিং এর ব্যবস্থা আছে.. সানা ঘাগড়া এর উচ্চতা বেশি নয় এবং একই রকম ঘোলাটে জলের ধারা। পার্কের মধ্যে ঝর্ণাটির চারপাশ বাঁধানো। এই জায়গা টি OTDC এর কাছেই মুম্বাই হাইওয়ে এর একধারে.. খন্ডধারা: মুম্বাই হাইওয়ে ধরে প্রায় 44 কিমি দূরে গ্রামের মধ্যে নির্জন জায়গায় অপূর্ব সুন্দর এই ধর্ণা। সত্যি কথা বলতে এটা কেওনঝড়ের আমার দেখা সব থেকে সুন্দর ঝর্ণা... অসাধারণ দেখতে ও অনেক উঁচু থেকে এই জলধারা মন ভরিয়ে দেয়। সামনে বড় জলাশয়। উচ্চতার জন্য পাহাড়ে ঘেরা এলাকাটায় অদ্ভুত হাওয়ার সৃষ্টি করে যা ঝর্ণার ধারার অবস্থান পরিবর্তন করে বারে বারে। ঝর্ণার নীচে রামধনু সৃষ্টি জাস্ট ওয়াও। স্নান করাটা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে এখানে। এটা স্বর্গ এককথায়। হান্ডিভাঙা: শেষ পাতে থাকলো হান্ডিভাঙা যেটা খন্ডধারা থেকে ৫০ কিমি। এটা একটা কোল মাইন অঞ্চল..ঝর্ণার কাছে একটা শিবের মন্দিরের সামনে গাড়ি রেখে কিছুটা ট্রেক করতে হয়.. খুব রোমাঞ্চকর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এই হাঁটা পথ. বেশি নয় মাত্র ১৫ মিনিট লাগবে ঝর্ণার কাছে পৌঁছাতে... সবথেকে আলাদা এই নির্জন জায়গাটি, ঝর্ণার সৌন্দর্য আর জায়গাটির গন্ধ মাতিয়ে তোলে মনকে.. অপূর্ব সুন্দর এই জায়গা টি... ঘন সবুজের মধ্যে এরম জায়গায় এরম একটি ঝর্ণার পাশে অর্ধেক দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়... ঝর্ণার চারপাশটি গোল হাড়ির মতো বাঁধানো আর তার একপাশটা খোলা যেখান দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে.. গাছে গাছে নানা রকম পাখি আর পোকার আওয়াজ.. একটা স্যাতস্যাতে গন্ধ জায়গাটা কে অন্য মাত্রা এনে দেয়... গাছের প্রকার ও বিভিন্ন এখানে... কোনো ভাবেই মিস করা যায় না এটা। বি:দ্র: নিজেদের গাড়ি ছাড়া কেওনঝড় ঘোরার কথা ভাববেই না। কারন গাড়ি ভাড়া করলেও তারা কতটা এফর্ট দেবে এই জার্নিটার জন্য সন্দেহ থাকে। আর লোকাল ট্রান্সপোর্টের কথা ভূল করেও ভাববে না। |
All Comments
Angshumali Sarkar
Posted on: 23rd Sep, 2020Awesome pics, just awesome. The description style is also very interesting. However a little care could be taken to correct some spellings.